শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ১২:১০ অপরাহ্ন

আন্তর্জাতিক বহু কোম্পানি কর দেয় না: সিপিডি

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ই-কণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক:: দেশে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে, যাদের অর্থনীতিতে উপস্থিতি থাকলেও করের দৃষ্টিকোণ থেকে অংশগ্রহণ নেই। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক সেমিনারে এ কথা বলেন বক্তারা।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ট্যাক্সিং দ্যা ডিজিটাল ইকোনোমি : ট্রেড-অফস অ্যান্ড অপরচুনিটি’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করে সিপিডি। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

সেমিনারে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ডিজিটাল ইকোনোমি আমাদের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও কর অনুপাত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে। আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে , যাদের উপস্থিতি আছে কিন্তু রাজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে নেই। সে বিষয়টি আমাদের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে যৌক্তিকভাবে ভোক্তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে তাদেরকে করের আওতায় আনা যায় সেটা ‍দেখতে হবে। সেটার জন্য প্রতিষ্ঠান ও আইনগত প্রস্তুতি দরকার, সেটাও নিতে হবে। তাদেরকে কীভাবে করের আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে ডব্লিউটিএর পক্ষ থেকেও প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ চলমান রয়েছে।

মূল প্রবন্ধে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। আমাদের ইকোনোমির বড় অংশ ডিজিটাল ইকোনোমি হবে। এই অবস্থায় অভ্যন্তরীণ সম্পদের মাধ্যমে কীভাবে রাজস্ব বাড়াতে পারি, এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার সময় সামনে চলে এসেছে। আমি বলব অনেক আগেই এসেছে।

সেমিনারে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, আগে আমাদের ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত কেন কম হচ্ছে, কোথায় কোথায় লিকেজ আছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের জিডিপি বাড়ছে, কিন্তু রাজস্ব আদায় কেন বাড়ছে না, সেটা জাতীয় সংসদেও আলোচনা হওয়া দরকার। লিকেজগুলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আলোচনা হওয়া দরকার। সিপিডিও এ বিষয়ে গবেষণা করতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করলাম কিন্তু টোল আদায়ের দায়িত্ব দিলাম বিদেশিদের। কেন? আমি খরচ অনেক বৃদ্ধি করেছি, কিন্তু আয়ের উৎস কেন বাড়ছে না, সেই হিসাব মেলাতে হবে। ফেসবুক ও গুগলসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোর বিষয়ে নীতিমালা দরকার।

এনবিআরের সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ডিজিটাল ইকোনোমির সাথে মনস্তাত্বিকভাবে সমস্যা তৈরি করছে। এর ফলে অনেক কথা বলা যাচ্ছে না। এমনকি লেখালেখির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট অনেকটা বিশেষ ক্ষমতা আইন হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের সংস্কার করা প্রয়োজন, ডিজিটাল কথাটা গুরুত্বপূর্ণ, এটার জন্য সাইবার সিকিউরিটি আইন হতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com